হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ হলে করণীয় কি ও এর চিকিৎসা

হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ হলে করণীয়

হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ হলে করণীয় কি , পুরুষের প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার কারণ , প্রসাব ক্লিয়ার করার ঔষধের নাম , প্রসাব ক্লিয়ার করার সিরাপ , প্রস্রাব আটকে রাখলে কি হয় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব।

Table of Contents

হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ হয় কেন ?

হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি গুরুতর সমস্যা। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমনঃ

মূত্রনালীর সংক্রমণ: যদি মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়, এর ফলে মূত্রনালীর পেশীগুলি ফুলে যায় এবং প্রস্রাব প্রবাহ হতে বাধার সৃষ্টি করে।

মূত্রনালীর বাধা: মূত্রনালীতে পাথর, টিউমার বা অন্যান্য রোগ হলে, প্রস্রাব প্রবাহ হতে বাধার সৃষ্টি করে।

স্নায়বিক সমস্যার কারণে: মস্তিষ্ক বা মেরুদণ্ডের স্নায়ুতে সমস্যা থাকলে মূত্রথলির পেশীগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এর ফলে প্রস্রাব প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

প্রস্রাব আটকে রাখলে কি হয় ?

প্রস্রাব আটকে রাখলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে:

মূত্রথলির পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া: দীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রথলির পেশীগুলি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর ফলে মূত্রত্যাগ করতে অসুবিধা সম্মুখীন হতে হয় , এমনকি প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হতে পারে।

মূত্রনালীর সংক্রমণ: প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। এর ফলে মূত্রনালীর সংক্রমণ হতে পারে; যা ব্যথা, জ্বালাপোড়া এবং শরীরে জ্বর হতে পারে।

কিডনিতে পাথর: প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রনালীতে খনিজ পদার্থ জমা হতে পারে। এর ফলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে, যার লক্ষণ স্বরূপ ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং জ্বর হতে পারে।

মূত্রথলি ফেটে যাওয়া: দীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রথলি ফেটে যেতে পারে। এটি একটি জটিল অবস্থা, যা জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।

প্রস্রাব আটকে রাখার ফলে যেসব শারীরিক সমস্যা হতে পারে তা ব্যক্তির বয়স, শারীরিক অবস্থা, এবং প্রস্রাব আটকে রাখার সময়কালের উপর নির্ভর করে।

আরও জানুনঃ ঘন ঘন প্রসাব কি কারনে হয়

প্রস্রাব আটকে রাখা এড়ানোর জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত:

  • প্রস্রাবের বেগ অনুভব হলে যত দ্রুত সম্ভব প্রস্রাব করুন ।
  • শৌচাগারের সামনে মোবাইল ফোন বা অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।

যদি আপনার প্রস্রাব আটকে রাখার অভ্যাসে থাকেন, তাহলে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ হলে করণীয় কি

হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া উচিত:

  • যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।
  • যদি ব্যথা হয়, ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করুন।
  • নিয়মিত প্রস্রাব করার চেষ্টা করুন।
  • শরীরকে সর্বদা উষ্ণ রাখুন।

যদি প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যান:

  • তীব্র ব্যথা হলে
  • জ্বর হলে
  • বমি বমি ভাব থাকলে
  • বমি হলে
  • শ্বাসকষ্ট হলে

প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ নির্ণয়ের জন্য আপনার চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা যেমনঃ রক্ত পরীক্ষা এবং মূত্র পরীক্ষা করতে পারেন। কারণ নির্ণয়ের পর চিকিৎসক আপনার উপযুক্ত চিকিৎসা  দিবেন।

কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক?

একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে চার থেকে আটবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক। তবে, পানি পানের মাত্রা যদি পর্যাপ্ত হয় তবে চার থেকে  দশ বার প্রস্রাব হওয়াও স্বাভাবিক।

প্রস্রাবের স্বাভাবিক মাত্রা নির্ভর করে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর, যেমন:

  • পানি পানের পরিমাণের উপর
  • মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতার উপর
  • বয়সের উপর
  • শারীরিক অবস্থা উপর
  • পানি পানের পরিমাণ বেশি হলে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যায়
  • মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা কম হলে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যায়
  • বয়স বাড়ার সাথে সাথে মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা কমে যায়। তাই বয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যায়।
  • গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যায়
  • কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যায়।

প্রস্রাবের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে পলিইউরিয়া (Polyuria) বলা হয়। পলিইউরিয়ার বেশ কয়েকটি কারণে হতে পারে, যেমন:

  • ডায়াবেটিস হলে
  • মূত্রনালি বা মূত্রথলির সংক্রমণ হলে
  • গর্ভবস্থায়
  • প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যা হলে
  • স্নায়ুরোগ হলে
  • কিডনি রোগ হলে

প্রস্রাবের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে তাকে ওলিগোইউরিয়া (Oligo-Urea) বলা হয়। ওলিগোইউরিয়ার বেশ কয়েকটি কারণ হতে পারে, যেমন:

  • ডিহাইড্রেশন হলে
  • কিডনি রোগ হলে
  • মূত্রনালি বা মূত্রথলির বাধার সৃষ্টি হলে

 প্রস্রাবের মাত্রা অস্বাভাবিক দেখা দিলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

পুরুষের প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার কারণ

পুরুষের প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ হতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ ও  প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যা। মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। এটি মূত্রনালী, মূত্রথলি, বা কিডনিতে হতে পারে। মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণের অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, তলপেটে ব্যথা, এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া ভাব।

পুরুষের প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যা: প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হলে মূত্রনালীতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, ফলে প্রস্রাবের প্রবাহ হতে বাধার সৃষ্টি করে । এর ফলে পুরুষের প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না।

মূত্রনালির বাধা: মূত্রনালিতে পাথর, টিউমার, বা অন্যান্য  সমস্যা হলে  প্রস্রাবের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস মূত্রনালীতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। এর ফলে পুরুষের প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না।

পুরুষের প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন চিকিৎসক প্রস্রাব পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ড, বা অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন। 

প্রসাব ক্লিয়ার করার ঔষধের নাম

প্রসাব ক্লিয়ার করার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

অ্যান্টিবায়োটিক: মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়। অ্যান্টিবায়োটিক সেসকল ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে যা প্রস্রাবের অস্বচ্ছতার কারণ হতে পারে।

এন্টিউরিটিকস: এন্টিউরিটিকস হল এমন ওষুধ যা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায়। যা প্রসাব ক্লিয়ার করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

 ওষুধ: ডায়াবেটিসের ওষুধ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি মূত্রতন্ত্রের  সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

প্রস্রাব ক্লিয়ার করার জন্য কোন ওষুধ সবচেয়ে ভালো তা নির্ভর করে প্রস্রাবের সমস্যার কারণ এবং রোগীর অন্যান্য স্বাস্থ্য অবস্থার উপর। তাই কোন ওষুধ নেওয়ার আগে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসাব ক্লিয়ার করার সিরাপ

প্রস্রাব ক্লিয়ার করার জন্য সিরাপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ: মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ ব্যবহার করা হয়। এগুলি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে যা প্রস্রাবের অস্বচ্ছতার কারণ হতে পারত।

এন্টিউরিটিক সিরাপ: এন্টিউরিটিক সিরাপ প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায়। এটি মূত্র বের করে দিতে সাহায্য করে।

কিডনির পাথর প্রতিরোধক সিরাপ: কিডনিতে পাথর প্রতিরোধক সিরাপ কিডনিতে পাথর গঠনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

প্রস্রাব ক্লিয়ার করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায়

প্রস্রাব ক্লিয়ার করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: পানি পান করা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায় এবং মূত্র বের করে দিতে সাহায্য করে।

বেরিজাতীয় ফল খাওয়া: বেরিজাতীয় ফল, যেমন ক্র্যানবেরি, মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

Cranberry

এই প্রাকৃতিক উপায়গুলি প্রস্রাব ক্লিয়ার করতে সাহায্য করতে পারে, তবে কোনও ওষুধের পরিবর্তে নয়।

ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধের ঔষধ

ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধের জন্য বেশ কয়েকটি ঔষধ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

অ্যান্টিহিস্টামিন: অ্যান্টিহিস্টামিন মূত্রথলির পেশীগুলিকে শিথিল করতে সাহায্য করে, যার ফলে প্রস্রাবের প্রবাহ বাড়ে এবং ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধ হয়।

এন্টিকোলিনারজিক: এন্টিকোলিনারজিক মূত্রথলির পেশীগুলিকে সংকোচিত করতে সাহায্য করে, যার ফলে প্রস্রাবের ফোটা ফোটা প্রবাহ বন্ধ হয়।

আলফা-ব্লকার: আলফা-ব্লকার মূত্রনালীর পেশীগুলিকে শিথিল করতে সাহায্য করে, যার ফলে প্রস্রাবের প্রবাহ বাড়ে এবং ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধ হয়।

ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধের জন্য কোন ঔষধ সবচেয়ে ভালো তা নির্ভর করে রোগীর বয়স, অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা, এবং প্রস্রাবের ফোটা ফোটা প্রবাহের তীব্রতার উপর। তাই কোন ঔষধ নেওয়ার আগে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

ফোটা ফোটা প্রস্রাব রোধের উপায়

ফোটা ফোটা প্রস্রাব রোধের জন্য কিছু উপায় হল:

পর্যাপ্ত পানি পান করা: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায় এবং মূত্রতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

নিয়মিত প্রস্রাব করা: নিয়মিত প্রস্রাব করলে মূত্রথলিতে বেশি প্রস্রাব জমা হতে পারে না। যা ফোটা ফোটা প্রস্রাব রোধে কাজ করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন মূত্রনালীতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, ফলে ফোটা ফোটা প্রস্রাব হতে পারে।

ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান মূত্রনালীর প্রদাহের ঝুঁকি বাড়ায়, ফলে ফোটা ফোটা প্রস্রাব হতে পারে।

ফোটা ফোটা প্রস্রাব একটি সাধারণ সমস্যা। তবে, এটি একজন ব্যক্তির জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করতে পারে। তাই ফোটা ফোটা প্রস্রাব হলে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

এছাড়াও, কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা মূত্রথলির পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধ করতে পারে। এই ব্যায়ামগুলিকে পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম  বলা হয়।

পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম

Pelvic floor exercises

প্রস্রাব বন্ধের অন্যান্য চিকিৎসা 

 প্রস্রাব বন্ধের জন্য অন্যান্য চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

ইলেক্ট্রোথেরাপি: ইলেক্ট্রোথেরাপি মূত্রনালীর পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, ফলে প্রস্রাবের প্রবাহ বাড়ে এবং ফোটা ফোটা প্রস্রাব হওয়া বন্ধ হয়।

অস্ত্রোপচার: কিছু ক্ষেত্রে, ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধ করতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।

ফোটা ফোটা প্রস্রাব একটি সাধারণ সমস্যা, তবে এটি একজন ব্যক্তির জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারে। তাই ফোটা ফোটা প্রস্রাব হলে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

সাধারণ জিজ্ঞাসাঃ

২ লিটারের বেশি পানি পান করলে দিনে কতবার প্রস্রাব হতে পারে?

২ লিটারের বেশি পানি পান করলে দিনে ৮-১০ বারের বেশি প্রস্রাব হতে পারে। তবে এটি নির্ভর করে একজন ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা, পানি পানের পরিমাণ, প্রস্রাবের বেগ এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ কী?

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে: পানি পানের পরিমাণ বৃদ্ধি, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি,ব্যায়াম,ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি ।

কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত?

সাধারণভাবে, একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দিনে চার থেকে আটবার প্রস্রাব করে থাকেন। অর্থাৎ, প্রতি ৯০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টায় একবার প্রস্রাব করা স্বাভাবিক। তবে, ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। যেমন, গর্ভবতী নারীদের প্রস্রাব করার প্রবণতা বেশি থাকে, তাই তারা দিনে ১০ থেকে ১২ বারও প্রস্রাব করতে পারেন। আবার, যারা অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় বেশি পান করেন, তাদের প্রস্রাব করার প্রবণতাও বেশি থাকে।

মহিলাদের দিনে কতবার প্রসাব করা উচিত?

সাধারণত, একজন পূর্ণবয়স্ক মহিলা ২৪ ঘণ্টায় দুই থেকে তিন লিটার প্রস্রাব করেন। তবে, এই পরিমাণটিও পরিবেশগত অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন, গরম আবহাওয়ায় ঘামের পরিমাণ বেশি হয়, তাই প্রস্রাবের পরিমাণও বেশি হয়।

 

 

1 thought on “হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ হলে করণীয় কি ও এর চিকিৎসা”

  1. আমার খুব উপকার হয়েছে , অনেক কিছু জানতে পারলাম।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top