ঘন ঘন প্রসাব কি কারনে হয়

ঘন ঘন প্রসাব কি কারনে হয়?

ঘন ঘন প্রসাব কি কারনে হয়, পুরুষের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ,মহিলাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিসের লক্ষণ, ঘন ঘন প্রসাব থেকে মুক্তির প্রাকৃতিক উপায়, ঘন ঘন প্রসাব থেকে মুক্তির ঔষধ, এসকল বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। ঘন ঘন প্রসাব কি কারনে হয় তা আমাদের জানতে হবে।

Table of Contents

ঘন ঘন প্রসাব কি কারনে হয় ?

ঘন ঘন প্রসাবের অনেক কারণ থাকতে পারে, ঘন ঘন প্রসাব কি কারনে হয় তা জেনে নিন। যার মধ্যে কিছু সাধারণ কারণগুলো হল:

অতিরিক্ত পানি পান করা: কোন ব্যক্তি দিনে ৮ গ্লাস বা তার বেশি পানি বা অন্যান্য তরল যদি পান করে তবে তার ঘন ঘন প্রসাব হতে পারে।

ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল গ্রহণ: ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াতে কাজ করে, এসব তরল বেশি পরিমাণে পান করলে ঘন ঘন প্রসাব হতে পারে।

আরও জানুনঃ ঘাড় ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়

গর্ভাবস্থায়:গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন প্রসাব হতে পারে।গর্ভাবস্থার প্রথম এবং শেষ দিকে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়।

প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যা: বয়স হলে পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যায়। যার ফলে মূত্রথলির উপর চাপ পড়তে পারে,তখন ঘন ঘন প্রসাব হতে পারে।

স্নায়ুজনিত সমস্যা: স্ট্রোক, মস্তিষ্কের টিউমার বা অন্যান্য স্নায়ুজনিত সমস্যার কারণে মূত্রথলির নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে ঘন ঘন প্রসাব হতে পারে।

কিডনি রোগ: কিডনি রোগের কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়তে পারে ও ঘন ঘন প্রসাব হতে পারে ।

আপনার যদি ঘন ঘন প্রসাবের সাথে যেমন জ্বর, প্রস্রাবের সময় ব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি ইত্যাদি অন্য কোনও উপসর্গ থাকে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

পুরুষের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ

পুরুষের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে।পুরুষের ঘন ঘন প্রসাব কি কারনে হয় তা জেনে নিন। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হল:

পুরুষের ঘন ঘন প্রসাব কি কারনে হয় । ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কিছু নির্দিষ্ট কারণ:

  • বিগ প্রোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া (বিপিএইচ): এই সমস্যা শুরু হয় পুরুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে । বিপিএইচ-এর কারণে প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যায় এবং মূত্রথলির উপর চাপ প্রয়োগ করে , যার ফলে ঘন ঘন প্রসাব হতে পারে।
  • ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডার (ওএবি): এটি এমন এক সমস্যা যার ফলে কিছু সময় পর পর প্রস্রাবের  অনিচ্ছাকৃত বেগ অনুভুত হয় , যার ফলে ঘন ঘন শৌচাগারে যেতে হয়। ওএবি-এর কারণে মূত্রথলি দ্রুত পূর্ণ হতে পারে এবং ঘন ঘন প্রসাব হয়।
  • ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস রোগীর প্রস্রাবে চিনির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীর প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়তে পারে।
  • ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ঘন ঘন প্রসাব হতে পারে।

ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া রোগের চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রসাব কি কারনে হয় সেটার উপর নির্ভর করে এর চিকিৎসাও নির্ভর করে। কিছু ক্ষেত্রে, এই সমস্যার কারণ নির্মূল করা বা কমিয়ে আনা যায়। যেমন, অতিরিক্ত তরল পান করা কমিয়ে আনলে ঘন ঘন প্রসাব কমে যেতে পারে। অন্যান্য অবস্থার ক্ষেত্রে, ঔষধ বা চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

অতিরিক্ত তরল খাবার বা পানীয় পান কমানো :

পুরুষের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার একটি সাধারণ কারণ  অতিরিক্ত তরল পান করা। প্রতিদিন ১০ গ্লাস বা তার বেশি পানি বা অন্যান্য তরল পান করা এড়িয়ে চলুন।

ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পান সীমিত করা :

ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে, মূত্রবর্ধক মানে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায় এমন পানীয়। ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পান সীমিত পরিমাণে করুন।

প্রয়োজনীয় ঔষধ সেবন করা :

কিছু ক্ষেত্রে, ঘন ঘন প্রস্রাব কমিয়ে আনতে ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বলা যায় , মূত্রনালী বা মূত্রথলির সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ঔষধ প্রয়োজন হতে পারে।

জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা :

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কমাতে কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তনও সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, রাতের বেলা তরল খাবার বা পানীয় কম পান করুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

মহিলাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ

মহিলাদের ঘন ঘন প্রস্রাবের অনেক কারণ রয়েছে। মহিলাদের ঘন ঘন প্রসাব কি কারনে হয় তা জেনে নিন। কিছু সাধারণ কারণ হল:

গর্ভবতী হওয়াঃমহিলাদের গর্ভাবস্থায়, মূত্রাশয়ের উপর চাপ বেড়ে যায়, যা ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ।

মূত্রনালীর সংক্রমণ বা ইউটিআইঃ ইউটিআই মূত্রাশয়, মূত্রনালী বা কিডনিকে প্রভাবিত করতে পারে। ইউটিআই-এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব এবং প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া। 

মূত্রথলির স্নায়ুবিক সমস্যাঃ মূত্রথলির স্নায়ুবিক সমস্যাগুলি মূত্রথলির পেশীগুলিকে নিয়ন্ত্রণে সমস্যার সৃষ্টি করে, যা ঘন ঘন প্রস্রাবের অন্যতম কারণের একটি।

কিডনির রোগঃ কিডনি রোগগুলি প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।

অন্যান্য রোগঃ অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা যা ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, হাইপারথাইরয়েডিজম ইত্যাদি ।

যদি আপনি ঘন ঘন প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে গুরুত্ব অবস্থার সৃষ্টি করে, তখন আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। রোগের কারণ নির্ণয়ের জন্য আপনার ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন এবং বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করবেন। প্রয়োজনে, তারা রক্ত ​​পরীক্ষা বা অন্যান্য পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন।

মেয়েদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া রোগের চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ এর উপর নির্ভর করে, ডাক্তার চিকিৎসার বিভিন্ন বিকল্পের পরামর্শ দিতে পারেন। কিছু সাধারণ চিকিৎসার বিকল্পের মধ্যে রয়েছে:

জীবনযাত্রার পরিবর্তনঃ তরল গ্রহণের পরিমাণ কমানো, অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন এড়ানো  এবং ওজন কমানোর মতো জীবনযাত্রার পরিবর্তনগুলি ঘন ঘন প্রস্রাবের চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারে।

ঔষধঃ ইউটিআই বা মূত্রথলির সমস্যার মতো কিছু নির্দিষ্ট অবস্থার জন্য ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কিসের লক্ষণ

 ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া নিম্নলিখিত রোগের লক্ষণ হতে পারে:

ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসের কারণে প্রস্রাবে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়, যার কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।

এডিমা: এডিমা বা ফোলাভাব হলে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

হৃদরোগ: হৃদরোগের কারণে প্রস্রাবের হওয়ার মাত্রা বাড়তে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপের কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়তে পারে।

যদি আপনার ঘন ঘন প্রস্রাবের সাথে অন্য কোনও উপসর্গ দেখা দেয় , যেমন জ্বর, প্রস্রাবের সময় ব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি, তাহলে অবশ্যই সরাসরি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করনীয়

 ঘন ঘন প্রসাব কি কারনে হয় ,অতিরিক্ত প্রস্রাবের কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তার আপনার রোগের লক্ষণ এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করবেন। প্রয়োজনে, তারা রক্ত ​​পরীক্ষা, মূত্র পরীক্ষা বা অন্যান্য পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন।

অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে  যা যা করনীয় তা নিম্নে দেয়া হলঃ

  • দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস তরল পান করুন।
  • ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন। এই পানীয়গুলি প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায়।
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে তরল খবার বা পানীয় পান সীমিত করুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে চার থেকে ছয় ঘন্টা আগে তরল গ্রহণ বন্ধ করুন।
  • পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম করুন। এই ব্যায়ামগুলি মূত্রথলির নিয়ন্ত্রণ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম 

Pelvic floor exercises

এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে যা অতিরিক্ত প্রস্রাবের সাথে মোকাবিলা করতে সহায়তা করতে পারে:

  • নিয়মিত প্রস্রাব করুন। নিয়মিত প্রস্রাব করলে আপনার মূত্রথলি পূর্ণ হয়ে ওঠার আগেই প্রস্রাব করতে পারবেন।
  • প্রস্রাব করার সময় যতটা সম্ভব বেশি প্রস্রাব করুন। প্রস্রাব করার সময় যতটা সম্ভব বেশি প্রস্রাব করার চেষ্টা করুন।
  • প্রস্রাব করার সময় আপনার মূত্রথলি সম্পূর্ণভাবে খালি করার চেষ্টা করুন। প্রস্রাব করার সময় আপনার মূত্রথলি সম্পূর্ণভাবে খালি করার চেষ্টা করুন।
  • প্রস্রাব করার সময় আপনার মূত্রথলিতে চাপ দেবেন না। প্রস্রাব করার সময় আপনার মূত্রথলিতে চাপ দেবেন না।

অতিরিক্ত প্রস্রাব একটি যন্ত্রণাদায়ক লক্ষণ, তবে এটি সাধারণত একটি গুরুতরজন্ত্রনাদায়, যদি আপনার অতিরিক্ত প্রস্রাবের সাথে অন্যান্য লক্ষণ না থাকে, তাহলে আপনি সাধারণত ঘরোয়া প্রতিকার বা জীবনধারা পরিবর্তন দ্বারা এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন ও এর থেকে মুক্তি লাভ করতে পারেন।

ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি খাওয়া উচিত

ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ নির্ভর করে, খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন করলে উপকার হতে পারে। সাধারণভাবে, ঘন ঘন প্রস্রাবের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত খাবারগুলি খাওয়া উচিত:

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিরোধের জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার উপকারী হতে পারে। যেমন:

সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজিতে ফাইবার থাকে, যা প্রস্রাবের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

সাইট্রাস ফলঃযেসব ফলে সাইট্রাস থাকে , যেমন লেবু, কমলা এবং মাল্টা, মূত্রাশয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারঃ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মূত্রাশয়ের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে।

ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যার জন্য কিছু খাবার এড়ানো উচিত। যেমন:

  • কফি, চা এবং অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়।
  • অ্যালকোহল।
  • সোডা এবং অন্যান্য চিনিযুক্ত পানীয়।
  • প্রসেসড খাবার।
  • লবণযুক্ত খাবার।

ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যার জন্য যদি আপনি কোনো নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার কথা ভাবছেন, তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

রাতে ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

রাতে ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার কারণ অনেক।রাতে ঘন ঘন প্রসাব কি কারনে হয় তা জেনে নিন। এর মধ্যে সাধারণ কারণগুলি হল:

অতিরিক্ত পানি পান: দিনে ৬-৮ গ্লাস পানি পান করাই যথেষ্ট। এর বেশি পান করলে রাতে ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার সমস্যা হতে পারে।

অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন গ্রহণ: অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন মূত্রবর্ধক, যার অর্থ এগুলি প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াতে পারে। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন পান করা এড়ানো উচিত।

ইন্টারস্টিশিয়াল সিস্টাইটিস: ইন্টারস্টিশিয়াল সিস্টাইটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা মূত্রাশয়ের ব্যথা এবং জ্বালা সৃষ্টি করে। এতে রাতে ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার সমস্যা হতে পারে।

ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রস্রাবে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। এতে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এবং রাতে ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার সমস্যা হতে পারে।

কিডনি রোগ: কিডনি রোগের কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়তে পারে। এতে রাতে ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার সমস্যা হতে পারে।

ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রাতে ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার সমস্যা হতে পারে।

ঘন ঘন প্রসাব থেকে মুক্তির প্রাকৃতিক উপায়

ঘন ঘন প্রসাব থেকে মুক্তির জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। এই উপায়গুলির মধ্যে রয়েছে:

ওজন কমানোর চেষ্টা করা: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ঘন ঘন প্রসাবের একটি কারণ হতে পারে। তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করলে উপকার পেতে পারেন।

নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম করলে মূত্রাশয়ের পেশীগুলি শক্তিশালী হয় এবং ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যা কমে যায়।

পেয়ারা খাওয়া: পেয়ারাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে যা মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং মূত্রাশয়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।

গ্রীন টি পান করা:গ্রীন টিতে ক্যাটেচিন নামক একটি উপাদান রয়েছে যা মূত্রাশয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

অ্যালোভেরা জুস পান করা: অ্যালোভেরা জুসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে যা মূত্রাশয়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।

ইউক্যালিপটাস তেল ব্যবহার করা: ইউক্যালিপটাস তেল একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক যা প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।

ইউক্যালিপটাস তেল

ইউক্যালিপটাস তেল

এই উপায়গুলি চেষ্টা করে যদি ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যার উপশম না হয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ডাক্তার আপনার সমস্যার কারণ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা দিতে পারবেন।

ঘন ঘন প্রসাব থেকে মুক্তির ঔষধ

ঘন ঘন প্রসাব থেকে মুক্তির জন্য অনেক ধরনের ঔষধ রয়েছে। এই ঔষধগুলির মধ্যে রয়েছে:

মূত্রবর্ধক ঔষধ : মূত্রবর্ধক ঔষধ প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে, এই ঔষধগুলি রাতে ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যাকে আরও বাড়ায় । তাই, রাতে ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যার জন্য মূত্রবর্ধক ঔষধ ব্যবহার করা উচিত নয়।

ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডার ঔষধ: ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডার ঔষধ মূত্রাশয়ের পেশীগুলিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। এতে মূত্রাশয় দ্রুত পূর্ণ হওয়ার সমস্যা কমে যায় এবং ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যা কমে যায়।

ঘন ঘন প্রসাবের কারণ নির্ভর করে, ডাক্তার আপনার জন্য সঠিক ঔষধের পরামর্শ দিতে পারবেন।এছাড়াও, কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যা হতে পারে। তাই, যদি আপনি কোনো ঔষধ সেবন করেন এবং ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

ঘন ঘন প্রস্রাবের এলোপ্যাথিক ঔষধ

ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ নির্ভর করে, এর চিকিৎসাও ভিন্ন হতে পারে। তবে, সাধারণভাবে, ঘন ঘন প্রস্রাবের জন্য নিম্নলিখিত এলোপ্যাথিক ঔষধগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে:

ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডার (ওবি) ঔষধ: ওবি ঔষধ মূত্রাশয়ের পেশীগুলিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। এতে মূত্রাশয় দ্রুত পূর্ণ হওয়ার সমস্যা কমে যায় এবং ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যা কমে যায়। এই ঔষধগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • টোলিট্রোজিন (Detrol)
  • ওক্সবুটিনাইন (Oxybutynin)
  • ডাফেক্সামিন (Daflon)

সাফিনামাইড (Sifrol)এছাড়াও, কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যা হতে পারে। তাই, যদি আপনি কোনো ঔষধ সেবন করেন এবং ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

সাধারণ জিজ্ঞাসাঃ

ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি রোগের লক্ষণ ?

ঘন ঘন প্রস্রাবের অনেক কারণ হতে পারে, এর মধ্যে কিছু কারণ হল: মূত্রনালীর সংক্রমণ,ডায়াবেটিস,প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি,কিডনি রোগ,ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি ।

কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত?

একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য দিনে ৪-১০ বার প্রস্রাব করা স্বাভাবিক। তবে, কিছু ব্যক্তির জন্য দিনে ৬-৮ বার প্রস্রাব করাও স্বাভাবিক হতে পারে। প্রস্রাবের পরিমাণ এবং ঘনত্বও ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হতে পারে।

ঘন ঘন প্রসাবের ঔষধের নাম কি?

খানে কিছু ঔষধের নাম দেওয়া হল যা ঘন ঘন প্রসাবের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে: টোলিট্রোজিন (Detrol),ওক্সবুটিনাইন (Oxybutynin),ডাফেক্সামিন (Daflon),সাফিনামাইড (Sifrol),অলডাক্টোনাইড (Desmopressin),মিথোক্লিপ্রিমিড (Mitoclopramide)।ঔষধগুলি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top