প্যারালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা

প্যারালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা

প্যারালাইসিস রোগীদের জন্য  স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের খাবার রোগীর স্বাস্থ্য এবং পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে সাহায্য করতে পারে। 

প্যারালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা

প্যারালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা তৈরি করতে আপনাকে জেনে নিতে হবে প্যারালাইসিস রোগীর কি ধরণের খাবার খেতে হবে ও কি কি খাবার এড়ানো আবশ্যক ।

প্যারালাইসিস রোগীর কি ধরণের খাবার খেতে হবে ?

স্ট্রোকের পরে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যাবশ্যক। কারণ স্বাস্থ্যকর খাবার  রক্তচাপ, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং পরবর্তীতে স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। প্যারালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানুন।

  • দ্বিতীয় বার স্ট্রোক প্রতিরোধ করা এবং সুস্থ থাকা তখনই সম্ভব হবে যখন আপনি আপনার ওজন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।
  • স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। কারণ এটি আপনার স্বাস্থ্যকে উন্নত করবে।

প্যারালাইসিস রোগীর খাবার তালিকায় কি কি রাখব

প্যারালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা তৈরি করতে আপনাকে জেনে নিতে হবে প্যারালাইসিস রোগীর কি ধরণের খাবার খেতে হবে।

আনারসের রস –আনারস ফলের কাণ্ডে রয়েছে ব্রোমেলাইন, একটি এমন এক এনজাইম যা ব্যথা প্যারালাইসিস রোগীর ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।

juice 1

চিকেন স্যুপ – এটি উচ্চ প্রোটিন এবং ভিটামিনের একটি চমৎকার উৎস যা রোগীদের তাদের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।যা প্যারালাইসিস রোগীর দেহে শক্তি বৃদ্ধি করে।

Chicken soup

ভেজিটেবল স্যুপ – এটি উচ্চ-প্রোটিনযুক্ত খাদ্য যা রোগীদের শক্তি অর্জন করতে এবং দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করতে পারে।

Vegetable soup

প্যারালাইসিস রোগীদের জন্য দুধ

দুধের পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা সর্বজনীনভাবে পরিচিত।প্যারালাইসিস রোগীরা অনেক দুর্বলতার সাথে মোকাবিলা করে এবং এটা বুঝতে হবে যে তাদের পুনরুদ্ধারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ও দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে পেশী শক্তির প্রয়োজন। দুধ এর জন্য খুবই পুষ্টিকর ও উপযোগী একটি খাদ্য।

  • প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখবেন ।
  • বিভিন্ন ফল যেমন: আনারস, আঙ্গুর, আম, আপেল ইত্যাদি ফল ।
  • বিভিন্ন ধরণের শস্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখবেন।
  • উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার  যেমন রুটি, ভাত, পাস্তা এবং ওটস প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখবেন ।
  • চর্বিহীন মাংস , হাঁস, মাছ, ডিম প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখবেন ।
  • বাদাম, বীজ, মটরশুটি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখবেন ।
  • দুধ, দই, পনির প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখবেন ।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা খুবই জরুরী ।

আরও জানুনঃ ঘাড় ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়

কি কি খাবার এড়ানো আবশ্যক

প্যারালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা তৈরি করতে আপনাকে জেনে নিতে হবে প্যারালাইসিস রোগীর কি কি খাবার এড়ানো আবশ্যক।

  • অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়ানো আবশ্যক। যেমন বিস্কুট, কেক, পেস্ট্রি, প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলুন ।
  • ভাজা বার্গার, পিৎজা, ভাজা খাবার, আলুর চিপস এড়িয়ে চলুন ।
  • স্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন মাখন, ক্রিম, নারকেল তেল এবং পাম তেল এড়িয়ে চলুন।
  • মানুষের শরীরে যত সোডিয়াম ঢোকে, তার প্রধান উৎস হল লবণ। তাই অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার এবং লবনাক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।
  • অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার রক্তে শর্করা বাড়ায়। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন ।
  • কোমল পানীয় পান বর্জন করুন ।

আরও কিছু খাবার এড়ানো আবশ্যক

  • দই
  • বাটার 
  • পনির
  • ফার্মেন্টেড আইটেম ( দোসা, ঢোকলা, ইত্যাদি)।
  • অ্যালকোহল
  •  সস
  •  জাম
  •  প্যাকজাত ফলের রস
  •  সাইট্রাস ফল (লেবু, কমলা ইত্যাদি)।
  •  আঙ্গুর
  •  আম
  •  আপেল

প্যারালাইসিসের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপির ভূমিকা 

প্যারালাইসিসের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে রোগীকে আক্রান্ত অঙ্গের নড়াচড়া শিখতে সাহায্য করা হয়। এছাড়াও, ফিজিওথেরাপি প্যারালাইসিসের কারণে সৃষ্ট অন্যান্য সমস্যা যেমন ব্যথা, জ্বালাপোড়া, খিঁচুনী ইত্যাদি উপশম করতে সাহায্য করে।

প্যারালাইসিস একটি জটিল রোগ যা রোগীর জীবনযাত্রাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাই, প্যারালাইসিস হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করা উচিত।

সাধারণ জিজ্ঞাসাঃ

প্যারালাইসিস কি ভালো হয় ?

প্যারালাইসিস থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব কিনা তা নির্ভর করে প্যারালাইসিসের কারণ এবং তীব্রতার উপর। প্যারালাইসিস থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া না হলেও, চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের মাধ্যমে প্যারালাইসড অঙ্গের কার্যক্ষমতা উন্নত করা সম্ভব হয়। এতে রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে পারে।

প্যারালাইসিস রোগের লক্ষণ কি ?

প্যারালাইসিস হল একটি শারীরিক অবস্থা যাতে মাংসপেশি দুর্বল বা শিথিল হয়ে যায় এবং স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না। এটি শরীরের একটি অংশ বা পুরো শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে। প্যারালাইসিস রোগের লক্ষণগুলো হলঃ অঙ্গের দুর্বলতা বা শিথিলতা,অঙ্গের নড়াচড়া করার অক্ষমতা,অঙ্গের ব্যথা,অঙ্গের খিঁচুনী,অঙ্গের সংবেদনশীলতা হ্রাস।

প্যারালাইসিস রোগীর খাবার?

প্রচুর শাকসবজি বিভিন্ন ফল শস্য উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন রুটি, ভাত, পাস্তা এবং ওটস চর্বিহীন মাংস এবং হাঁস, মাছ, ডিম,বাদাম, বীজ, এবং,মটরশুটি,দুধ, দই, পনির ।

স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা কি?

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা, মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করা,মস্তিষ্কের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করার জন্য ওষুধ দেওয়া।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top