ফেসিয়াল প্যারালাইসিস কি?

ফেসিয়াল প্যারালাইসিস

ফেসিয়াল প্যারালাইসিস কি?

ফেসিয়াল স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে মুখ সাধারণত একদিকে বেকে যায় আর তাকেই ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা ফেসিয়াল পালসি বলে।ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা ফেসিয়াল পালসি পুরুষের তুলনায় মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে।

ফেসিয়াল প্যারালাইসিস কেনো হয়?

১)ফেসিয়াল প্যারালাইসিস হয় যখন মস্তিষ্ক থেকে যে ৭নং স্নায়ু বের হয় তা ক্ষতিগ্রস্থ হলে।

২) স্ট্রোকের কারণে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস হয়ে থাকে। স্ট্রোকের সাথে শরীরের একপাশে ও অন্যান্য পেশীও জড়িত থাকতে পারে।

৩) মস্তিষ্কের টিউমারের কারনে ।

৪) ভাইরাসের আক্রমনের ।

৫)আঘাতজনিত ও ঠান্ডার কারণে ।

ফেসিয়াল প্যারালাইসিস এর লক্ষণগুলো হল:

  • মাথাব্যথা।
  • খিঁচুনি বা শ্রবণশক্তি হ্রাস।
  •  মুখ একদিকে বেকে যাওয়া।
  • কথা বলতে কষ্ট হওয়া।
  • খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া।
  • কপাল ঠিকমত ভাজ করতে না পারা।
  • চোখ পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারা এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া প্রভৃতি ফেসিয়াল প্যারালাইসিস এর লক্ষণ।

ফেসিয়াল প্যারালাইসিস শণাক্তকরণ:

ফেসিয়াল প্যারালাইসিস সাধারণত কিছু পরীক্ষা ও রোগীর ইতিহাস দেখে নির্ণয় করা হয় ।তবে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস সাধারণত দেখেই বুঝা যায়। রোগীকে কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস শনাক্ত করা হ:

আপনার মুখের উভয় পাশ প্রভাবিত হয়?

আপনি কি সম্প্রতি অসুস্থ বা আহত হয়েছেন?

আপনার কি অন্য উপসর্গ আছে? যেমন, ঢল, এক চোখ থেকে অতিরিক্ত অশ্রু, মাথাব্যথা, খিঁচুনি, দৃষ্টি সমস্যা, দুর্বলতা বা পক্ষাঘাত।

ফেসিয়াল প্যারালাইসিস এর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • রক্তের সুগার, CBC, (ESR), লাইম টেস্ট সহ রক্ত ​​পরীক্ষা।
  • মাথার সিটি স্ক্যান।
  • ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি
  • মাথার এমআরআই।

 

ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের চিকিৎসা:

ফেসিয়াল প্যারালােইসিস
ফেসিয়াল প্যারালােইসিস

 

ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের চিকিৎসা:

ফেসিয়াল প্যারালাইসিস হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিলে খুব দ্রুত সুফল পাওয়া যায়। এছাড়াও এরোগের জন্য  কর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন, মেডিসিন ব্যবহার হয়ে থাকে।

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা:

ফেসিয়াল প্যারালাইসিস এর সবচেয়ে কার্যকারী চিকিৎসা পদ্ধতি হল ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ।  এ রোগের জন্য একজন ফিজিওথেরাপিস্ট প্রথমে চিকিৎসা পরিকল্পনা করেন এবং পরে তা বাস্তবায়ন করেন। এর মধ্যে ফেসিয়াল থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ, ইলেকট্রোথেরাপি মোডালেটিস,বেলুনিং এক্সারসাইজ  ব্যবহার করে থাকেন। কেউ যদি হাসপাতালে ভর্তি থেকে প্রতিদিন ২-৩ বার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নেন তাহলে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন। তবে আঘাতপ্রাপ্ত বেশি হলে ৬-৭ মাস সময় লাগতে পারে।

ধন্যবাদ,
বিপিটি ( ঢাবি) , এমপিটি ( অর্থোপেডিক) – ইন্ডিয়া ।
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান
পেইন কিউর ক্লিনিক
অপ্যায়েন্টম্যান্ট +৮৮০১৭৭৪৬৭৮৬০৪

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top