তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় হল তিনটা –
১। গরম পানিতে ১৫ মিনিট গোসল করুন এবন গোসল টা উপভোগ করুন । এতে আপনার মাসল এবং রক্তনালীর উপর চাপ কমবে ।
২। লম্বা করে নাক দিয়ে শ্বাস নিন , মুখ দিয়ে ছাড়ুন ।
৩। রিলাক্স থাকুন ।
তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি আপনি যদি স্থায়ীভাবে ওজন কমাতে চান , তাহলে উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে ।
উচ্চ রক্তচাপ কি?
একজন স্বাভাবিক মানুষের দেহের রক্তচাপ ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। কোন কারণে এই রক্তচাপ যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায় , তখন আমরা উচ্চরক্তচাপ বলতে পারি । আবার এর চেয়ে অধিক কমে গেলে সেটাকে আমরা লো প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপও বলতে পারি ।
পরবর্তীতে উচ্চ রক্তচাপ থেকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক সহ অন্যান্য নানাবিধ সমস্যা হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ ও কারণ
শারীরিক কোন উপসর্গ দেখে উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ আসলে সঠিকভাবে বুঝা যায় না । শুধু ব্লাড প্রেশার মেশিন দিয়ে রক্তচাপ নির্নয় করলেই উচ্চরক্তচাপ সঠিকভাবে নির্নয় করা যায় ।
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ
১। তীব্র মাথা ব্যথা
২। শ্বাস কষ্ট
৩। নাক দিয়ে রক্ত পরা
৪। বুকে ব্যথা
৫। বমি হওয়া
উচ্চ রক্তচাপের কারণ সমূহ
উচ্চরক্তচাপ অনেক কারণেই হয়ে থাকে । নিম্নে উচ্চ রক্তচাপের কিছু কারণ সমূহ দেওয়া হল
১। অতিরিক্ত ওজন,
২। নিয়মিত এক্সারসাইজ না করলে বা শারীরিক পরিশ্রম না করলে
৩। অতিরিক্ত লবণ খেলে
৪। অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিয়ে কাজ করলে
৫ । অতিরিক্ত মদ্যপান করলে
৬। ধূমপান করলে
৭। বংশগত উচ্চরক্তাপের সমস্যা থাকলে
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ৮টি উপায়
তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় আমরা ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি । এখন জানবো স্থায়ীভাবে উচ্চরক্তচাপ কমানোর ৮ টা উপায়
১) ওজন নিয়ন্ত্রণ: দেহের ওজন বেড়ে গেলে স্বাভাবিক রক্তচাপ বেড়ে যায়। আবার অতিরিক্ত ওজন কমে গেলে দেহের রক্তচাপ কমে যায়। তাই প্রতি কেজি ওজনের সাথে একজন মানুষের দেহের রক্তচাপ ১মিলিমিটার মার্কারি পর্যন্ত কমে যায়। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ওজন নিয়ন্ত্রনের বিকল্প নেই।
২) লবণের ব্যবহার কমিয়ে আনা: সোডিয়াম যুক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম একটি কারণ। এই লবণের ব্যবহার কমিয়ে আনলে দেহের উচ্চ রক্তচাপ (৫-৬)মিলিমিটার মার্কারি কমে আসে। তাই লবণের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১৫০০ মিলিগ্রামের চেয়ে কম পরিমান লবণ খেতে হবে।
৩) নিয়মিত শরীরচর্চা করা: নিয়মিত কমপক্ষে ৩০মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। নিয়মিত এক্সারসাইজ ৫-৮ মিলিমিটার মার্কারি রক্তচাপ কমিয়ে থাকে। তাই নিয়মিত সাইক্লিং,হাটা,সাঁতার কাটা,দৌড়ানো প্রভৃতি শারীরিক কসরত করতে হবে।
৪) ধুমপান ও মদ্যপান পরিহার: ধুমপান যেমন সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গোল প্রভৃতি পরিহার করতে হবে। বারো আউন্স মদ পরিহার করলে ৪মিলিমিটার মার্কারি রক্তচাপ কমে যায়। তাই অবশ্যই মদপান বন্ধ করতে হবে।
৫) নিয়মিত সময় করে ঘুমান: ৬ সপ্তাহ যদি ৬ঘন্টার কম ঘুমান তাহলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত কমপক্ষে ছয় ঘন্টার বেশি ঘুমান। যাদের ঘুম নিয়মিত না হয় তারা অবশ্যই-
- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে।
- ঘুমানোর জায়গা অবশ্যই শান্ত, ঠান্ডা, নিরব থাকতে হবে।
- ঘুমানোর আগে অবশ্যই কম্পিউটার, মোবাইল, টিভি স্ক্রীন থেকে দূরে থাকুন।
- ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যাবেন না।
৬) অতিরিক্ত চাপ পরিহার করুন: কাজ করবেন তা রুটিন অনুসারে করবেন। তবে হঠাৎ একসাথে মাত্রাতিরিক্ত কাজ করবেন না। যে মানুষগুলো আপনার চাপের কারণ হয় , অবশ্যই তাদের থেকে দূরে থাকবেন। কাজের ফাকে ফাকে একটু বিশ্রাম নিন। আপনার হাইপ্রেশার কমিয়ে আনবে।
৭) উচ্চ রক্তচাপে ঘরোয়া খাবার: রক্তচাপ কমাতে অবশ্যই তেলজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। ফাস্ট ফুড যেমন বার্গার, পিজ্জা প্রভৃতি কমিয়ে আনতে হবে। আদা, পেয়াজ, পেপে, পাতিলেবু, রসুন প্রভৃতি রক্তচাপ কমাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
৮)পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: রক্তচাপ কমাতে পটাশিয়াম গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুধ, কলা, টমেটো, কমলা প্রভৃতি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার । তাই রক্তচাপ কমাতে বেশি বেশি এগুলো খেতে হবে।
তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় হল – গরম পানিতে ১৫ মিনিট গোসল করুন । লম্বা করে নাক দিয়ে শ্বাস নিন , মুখ দিয়ে ছাড়ুন । রিলাক্স থাকুন । উচ্চরক্ত চাপ অতিরিক্ত বেশি হলে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া উচিত ।
ধন্যবাদ
ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ) , এমপিটি ( ইন্ডিয়া )
প্রতিষ্ঠাতা, ভিশন পেলভিক কেয়ার
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার
উত্তরা, ঢাকা ।
অ্যাপয়েন্টম্যান্ট ঃ 01932797229
ফেইসবুক প্রোফাইল দেখুন
https://youtu.be/aZBj2FHb7aI
Consultant Physiotherapist
BPT (DU), MPT (Ortho)
PGC in Acupuncture (India)
Specially Trained in Ozone Therapy