স্ট্রোকের রোগীর খাবার সম্পর্কে জানতে হলে আগে স্ট্রোক সম্পর্কে কিছু জানা দরকার । সারাবিশ্বে প্রতিবছর স্ট্রোকে ৫০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে । শারীরিক প্রতিবন্ধিতার প্রধান কারণও স্ট্রোক । প্রতি ৬ জনে ১ জন স্ট্রোক করে ।স্ট্রোকের চিকিৎসা অনেক ব্যয়সাধ্য এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাসপাতালে আনতে হয় । তাই স্ট্রোকের চিকিৎসা আসলেই কঠিন । আমাদের দেশে স্ট্রোক রোগীদের জন্য ভালভাবে রিহ্যাবিলিটেশন নেই বললে চলে । তাই স্ট্রোক মানে মৃত্যু , আর যারা বেঁচে থাকে তাদের জন্য সীমাহীন দুর্ভোগ । স্ট্রোক সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না , বিশেষ করে স্ট্রোকের রোগীর খাবার , স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে কখন কি খাব , কি ধরনের এক্সারসাইজ করব ? আমরা এইসব জানি না বলেই চলে ।

আলোচ্য বিষয়গুলো
স্ট্রোকের রোগীর খাবার
স্ট্রোকে মৃত্যুহার অনেক বেশি হলেও স্টোক প্রতিরোধযোগ্য । স্ট্রোকের জন্য সঠিক খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম এবং সঠিক জীবন যাত্রা মাধ্যমেই আমরা ৮০-৯০% স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে পারি ।একবার স্ট্রোক করলে , পরবর্তীতে স্ট্রোকের ঝুঁকি আরো অনেক বেশি বেড়ে যায় । কিন্তু সঠিক জীবনযাত্রা এবং খাবার দাবারের চাইলেই স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায় । মূলত কি কি খাবার খেলে স্ট্রোক থেকে বাঁচতে পারব, সেইগুলো নিয়ে এই ব্লগ ।
১। স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য বাদামঃ
স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য বাদাম খুবই পুষ্টিকর খাবার। । গবেষনায় দেখা গেছে নিয়মিত ৩০ গ্রাম বাদাম খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায় ।
২। রসুনঃ
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে রসুন খুবই গুরুত্বপূর্ন খাবার । স্ট্রোক রোগীদের জন্যও রসুন গুরুত্বপূর্ন । গবেষনায় দেখা গেছে নিয়মিত রসুন খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৫০% কমে । প্রতিদিন ১ -২ কোয়া রসুন খাবেন ।
৩। সবুজ শাকসবজিঃ
হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনায় দেখা গেছে সবুজ শাকসবজি খেলে ২০% স্ট্রোক ঝুঁকি কমে । বিশেষ করে পালংশাক স্ট্রোক ঝুঁকি কমাতে খুবই উপকারী । স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য এবং স্ট্রোকের রোগীর খাবার হিসেবে বাদাম খুবই গুরুত্বপূর্ন ।
৪। সিট্রেসঃ
স্ট্রোক ঝুঁকি কমাতে টক জাতীয় ফল খুবই উপকারী খাবার । । ৭০ হাজার মহিলাদের নিয়ে একটা গবেষনা স্ট্রোক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল – দেখা গেছে এরা ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে পর্যাপ্ত সিট্রেস ফল খেয়েছিল এদের স্ট্রোক ঝুঁকি ১৯% কমছে , যারা স্বাভাবিক খেয়েছে তাদের থেকে । যেমন – লেবু, কমলা, মালটা সিট্রেস ফল ।
৫। টমেটোঃ
টমেটোতে প্রচুর পরিমানে লাইকোপেন থাকে, যেটা রক্তনালীতে জমাট বাধা ব্লক সরাতে কাজ করে । নিউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত এনালাইসিসে দেখা গেছে এতে প্রায় ৫৫% স্ট্রোক ঝুঁকি কমে । যারা আগে স্ট্রোকে করেছেন অর্থাৎ স্ট্রোক রোগীদের খাবার হিসেবেফ টমেটো গুরুত্বপূর্ন ।
৬। কফি এবং গ্রীন টিঃ
স্ট্রোক ঝুঁকি কমাতে কফি এবং অনেক ভাল কাজ করে । বিশেষ করে দৈনিক ২-৩ কাপ গ্রীন টি খেলে স্ট্রোক ১৪% স্ট্রোক ঝুঁকি কমে ।
৭০ হাজার মহিলাদের নিয়ে একটা গবেষনা স্ট্রোক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল – দেখা গেছে এরা ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে পর্যাপ্ত সিট্রেস ফল খেয়েছিল এদের স্ট্রোক ঝুঁকি ১৯% কমছে , যারা স্বাভাবিক খেয়েছে তাদের থেকে । যেমন – লেবু, কমলা, মালটা সিট্রেস ফল স্ট্রোকের রোগীর খাবার হিসেবে গুরুত্বপূর্ন।
৭। কলাঃ
কলাতে প্রচুর পটাসিয়াম থাকে যেটা আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে খুবই ভাল কাজ করে । একটা গবেষনায় দেখা গেছে নিয়মিত কলা খেলে সমস্যা ২৪% স্ট্রোক ঝুঁকি কমে । কলা খুবই সহজ লভ্য জিনিস , আমাদের নিয়মিত অন্তত একটা করে কলা খাওয়া উচিত । স্ট্রোকের রোগীর খাবার হিসেবে কলা বেশ উপকারী । পুনরায় স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমায় ।
৮। কুমড়োর বিচিঃ
কুমড়োর বিচিতে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম থাকে , যেটা আমাদের স্ট্রোক ঝুঁকি কমাতে খবুই ভাল কাজ করে । স্ট্রোক জার্নালে প্রকাশিত একটা গবেষনায় দেখা গেছে কুমড়ো বিচি খেলে স্ট্রোক ঝুঁকি ২২% কমে । আপনি নিয়মিত ৮/১০ কুমড়োর বিচি খেতে পারেন । স্ট্রোক রোগীর খাবার এবং স্ট্রোক প্রতিরোধে কুমড়োর বিচি অবশ্যই খাবেন ।
৯। সামুদ্রিক মাছঃ
সামুদ্রিক মাছে ( স্যালমন, টুনা ) ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। যেটা স্ট্রোক ঝুঁকি কমাতে খুবই ভাল কাজ করে । তবে শুধু সামুদ্রিক মাছ না , আমরা যেইসব মাছ খাই এইগুলোতে কিছু পরিমাণ ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড আছে ।
১০ । মিষ্টি আলুঃ
মিষ্টি আলু খুবই পুষ্টিকর খাবার । এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে । মিষ্টি আলু আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে । স্ট্রোক ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত মিষ্টি আলু খাবেন ।
ধন্যবাদ
কনসালটেন্ট ফিজিওথেরাপিস্ট
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার ,
উত্তরা , ঢাকা । ০১৯৩২৭৯৭২২৯
স্ট্রোক প্রতিরোধ উপায় গুলো দেখুন
স্ট্রোক সম্পর্কিত বিভিন্ন ডিভাইস পেতে টেকনো হেলথের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন
www.technohealth.com.bd
Related Link:
For health and fitness product please visit Techno Health
For Baby product online Please Visit BABY BUY
Very informative advice. Thank you doctor.
Thank you so much. Take care .