ইরেকটাইল ডিসফাংশন চিকিৎসা নিয়ে আমাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি মূলক তথ্য এবং চিকিৎসা প্রচলিত । যেইগুল মূলত সাময়িক হয়তো কিছুটা কাজ হলেও ক্ষতির দিকটাই বেশি । তাহলে ইরেকটাইল ডিসফাংশন থেকে মুক্তির উপায় কি ? ইডির চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হলে আগে আমাদের জানা দরকার , ইডি আসলে কি , কেন এটা হয় ? এর বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা কি, প্রচলিত চিকিৎসা কি ?
ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা ইডি কি ?
কোন পুরুষ যখন তার সঙ্গিনীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় , তখন যদি তার গোপন অঙ্গ সোজা না হয় কিংবা বেশিক্ষণ সোজা রাখতে না পারে এটাকে ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা সংক্ষেপে ইডি বলে । সোজা কথায় বলা যায় লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা ।
ইরেকটাইল ডিসফাংশন সমস্যা খুবই কমন একটা সমস্যা । বিশেষ করে চল্লিশ বছরের বেশী বয়সীদের মধ্যে এটা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । কানাডায় চার হাজার লোকজন নিয়ে একটা গবেষনা চালানো হয়েছিল, যাদের বয়স ছিল চল্লিশের উপর। তাদের মধ্যে অর্ধেকেরই ইরেকটাইল ডিসফাংশন সমস্যা পাওয়া গেছে । এর থেকে বুঝা যায় ইরেকটাইল সমস্যা কতটা ব্যাপক ।
ইরেকটাইল ডিসফাংশন কেন হয়
অতিরিক্ত মানসিক চাপ , রক্ত সঞ্চালনের অভাব, হরমোনাল সমস্যা এবং নার্ভ ডেমেজের কারণে অনেক বেশি হয়ে থাকে । এছাড়া বিভিন্ন ধরেনর মেডিকেল কন্ডিশন যেমন হার্ট ডিজিজ, ডায়বেটিস, স্ট্রোক, অতিরিক্ত ওজন, কম টেস্টোস্টেরন এইসব কারনেও ইরেকটাইল ডিসফাংশন হয়। তবে কারণ যাই হোক অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পেনিসে রক্তসঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয় , পেল্ভিক ফ্লোর মাসল দুর্বল হয়ে যায় । যেটার জন্য লিঙ্গ উথান সমস্যা বেশি হয়ে থাকে । এই ধরনের সমস্যার
ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন ।
ইরেকশন কি / পেনিস কিভাবে ইরেকশন (সোজা ) হয়
সাধারনত আমরা যখন সেক্সূয়ালি আগ্রহী হয় , তখন নার্ভ এক ধরনের ক্যামিকেল রিলিজ করে যেটা আমাদের পেনিসে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় । পেনিসের টিস্যূ গুলো অনেকটা স্পঞ্জের মত , স্পঞ্জি টিস্যূগুলোর ভিতরে রক্তের প্রবাহ শুরু হয় । ইরেকশনের সময় পেনিসের স্পঞ্জি টিস্যূগুলো রিলাক্স থাকে এবং তাদের চেম্বারে রক্ত ধরে রাখে । চেম্বারগুলোতে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায় , পেনিস শক্ত এবং সোজা হয় । আমাদের সেক্স যখন শেষ তৃপ্তির পর্যায়ে পৌছে , তখন আরেক সেট নার্ভ সিগনাল দেয় , পেনিসের স্পঞ্জি টিস্যূগুলোকে কন্ট্রাক ( সংকুচিত ) করতে , ফলে রক্ত আবার পেনিস থেকে শরীরে ফিরে যায় । পেনিস নরম, ছোট এবং ঠান্ডা হয়ে যায় । এটা একটা স্বাভাবিক প্রসেস । এই প্রসেস এর মধ্যে কোন বিঘ্ন হলে পেনিস সোজা হয় না , এটাকে ইডি বলে ।
চিকিৎসা হিসেবে অনেকেই এটার জন্য বিভিন্ন ধরেনর ওষুধ খায় । বাজারে যেটা ভাইএগ্রা নামে পরিচিত । এই ওষুধ গুলো শুধু সাময়িক ভাবেই কাজ করে এবং ওষুধ গুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর ও ব্যয়বহুল ।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট এবং সমারসেট নাফিল্ড হাসপাতাল মিলে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের চিকিৎসার জন্য একটা গবেষনা করেছিল । ইডির এক গ্রুপকে পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ দিয়েছিল এবং অন্যগ্রুপকে পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ দেওয়া হয় হয় নাই, তাদেরকে শুধু স্বাভাবিক চিকিৎসা এবং হেলদি লাইফ মেইনন্টেন করতে বলা হয়েছিল । দেখা গেছে তিন মাস পর যেই গ্রুপকে পেলভিকক ফ্লোর এক্সারসাইজ দিয়েছিল তাদের অনেক অনেক ভাল উন্নতি হয়েছে । যাদের দেওয়া হয় নাই , তাদের উন্নতি হয় নাই । পরবর্তীতে আবার দুই গ্রুপকেই পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ দেওয়া হয়েছিল । পরবর্তীতে দেখা গেছে দুই গ্রুপেই ভাল উন্নতি হয়েছে । পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ গুলো করিয়েছিল ফিজিওথেরাপিস্ট । অর্থাৎ ফিজিওথেরাপিস্ট দ্বারা পেলভিকক ফ্লোর এক্সারসাইজ শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল ।
ইরেকটাইল ডিসফাংশনের জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন আধুনিক বৈপ্লবিক চিকিৎসা হল শকওয়েভ থেরাপি । শকওয়েব থেরাপির কার্যকারিতা নিয়ে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ন গবেষনা আছে । ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টারে আমরা শকওয়েভ থেরাপি নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করে আসছি । অত্যান্ত কার্যকরী এই থেরাপি। ইডির চিকিৎসায় শকওয়েভের কার্যকারিতা অনেক ভাল৷ তবে অবশ্যই এই বিষয়ে এক্সাপার্ট ফিজিওথেরাপিস্ট দ্বারা শকওয়েব থেরাপি নেওয়া উচিত ।
ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর ঘরোয়া চিকিৎসা
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইরেকটাইল ডিসফাংশন অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারনে হয়ে থাকে । সেই ক্ষেত্রে অযথা টেনশন করে , ঠান্ডা মাথায় পরিবারকে সময় দিন । কিগল এক্সারসাইজ টি সুন্দরভাবে বাসায় করেন ,পর্যাপ্ত পানি খাবেন , স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন , নিয়মিত ব্যায়াম করবেন , ধূমপান করবেন না, অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিবেন না ।
ইরেকটাইল ডিসফাংশন চিকিৎসায় উপকারি ৬ টি বেস্ট খাবার
১। কফি
সকাল বেলায় এক কাপ কফি ভাল মানের সেক্সের জন্য খুব উপকারি ।
২। কাচা মরিচ –
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য মরিচ অনেক ভাল কাজ করে । তাই ঝাল খাবার খেতে পারেন ।
৩। আপেল –
আপেল খেলে প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমে ।
৪। গাজর –
প্রতিদিন নিয়মিত গাজর খেতে পারেন ।
৫। টমেটো – সেক্সূয়াল হেলথের জন্য টমেতো অনেক উপকারি একটা খাবার । টমেটো প্রস্টেট ক্যান্সার ঝুঁকি প্রতিরোধ হয় । টমেটো রান্না করে খাওয়ার সময় না থাকলে , টমেটো জুস বানিয়ে খেতে পারেন ।
ইডির প্রাথমিক চিকিৎসা বাসায় করতে চাইলে অবশ্যই অবশ্যই কিগল এক্সারসাইজ করবেন এবং খাবার গুলো খাবেন ।
ধন্যবাদ
বিপিটি ( ঢাবি ) , এমপিটি ( ইন্ডিয়া ) ,
প্রতিষ্ঠাতা, ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার,
হাউজ ২৩ , লেক ড্রাইভ রোড , সেক্টর ৭ ,উত্তরা
ঢাকা । এপয়েনম্যান্ট ০১৯৩২৭৯৭২২৯
এই বিষয়ে সরাসরি পরামর্শ পেতে ০১৭৮৭১৫২৮৭২
For health and fitness product please visit Techno Health
Consultant Physiotherapist
BPT (DU), MPT (Ortho)
PGC in Acupuncture (India)
Specially Trained in Ozone Therapy
Pingback: শকওয়েভ থেরাপি কি ? shockwave therapy in bangladesh
শকওয়েভ থেরাপি মোট ৮ বার দিতে কত টাকা লাগবে আপনার কাছে। একটু ধারনা দিবেন প্লিজ