দেরিতে বিয়ে বাড়ায় স্বাস্থ্যঝুকি

দেরিতে বিয়ে বাড়ায় স্বাস্থ্যঝুকি

বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে দেরিতে বিয়ে করছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রতিবন্ধী বাচ্চা, ওজনহীন বাচ্চা, মায়ের বাচ্চা ধারনে সমস্যা, বিষন্নতা,হতাশা, এইচআইভি প্রভৃতি  নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছেযা দেশের জন্মহার ও অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক দেরিতে বিয়ে করার স্বাস্থ্য ঝুকিসমূহ:

১) মায়ের বাচ্চা ধারনে সমস্যা:

দেরিতে বিয়ে করার সবচেয়ে বড় কুফল হলো মায়ের বাচ্চা ধারনে সমস্যা। কারণ বেশি বয়সে বিয়ে করলে ওভারিয়ান সাইকেলে সমস্যা হতে পারে। যার প্রেক্ষিতে মায়ের বাচ্চা ধারনে সমস্যা হয়।

হিউম্যান রিপ্রোডাকশন এর একটা গবেষণা থেকে জানা যায়: একজন মায়ের ফার্টিলিটি হার অর্থাৎ প্রজনন ক্ষমতা ২০ বছরের পর থেকে কমতে থাকে।

এখন একজন মেয়ের যদি ৩০ বছরের পর বিয়ে হয় তাহলে এমনেই তার প্রজনন ক্ষমতা অনেক কম থাকে। যার জন্য মায়ের বাচ্চা নেওয়া অনেক সময় দূরহ হয়ে পড়ে।

২) প্রতিবন্ধী ও অস্বাভাবিক সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা:

দেরিতে বিয়ে বাড়ায় স্বাস্থ্যঝুকি এর মূলকথা হল তার অনাগত সন্তান অস্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বেশি বয়সে বিয়ে করলে বাবার শুক্রাণুর সংখ্যা কম থাকে। যা সরাসরি বাচ্চা প্রতিবন্ধী হওয়ার অন্যতম কারণ। এবং বেশি বয়সে বিয়ে করলে  মায়ের প্রেগনেন্সিতে ঝুকি থাকে। সন্তান অস্বাভাবিক, প্রতিবন্ধী হওয়ার পেছনে বাবা মায়ের বেশি বয়স গুরত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

গবেষণা থেকে জানা যায়: ৩০ বছরের বাবার তুলনায় ৪০ থেকে ৫০ বছরের বেশি বয়সের বাবার সন্তান ৫-৭গুণ বেশি প্রতিবন্ধী হওয়ার সম্ভাবনা।

৩) এইডস হওয়ার সম্ভাবনা:

দেরিতে বিয়ে করলে যে সমস্যাগুলো হয় তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হলো এইডস । এইডস হল সেক্সোয়ালি ট্রান্সমিটেড একটি ডিজিজ। যা সাধারণত এইচআইভি ভাইরাস দিয়ে হয়ে থাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েগুলো সেক্সোয়াল ইন্টারকোর্স  দেরিতে হওয়ায় তাদের এইডস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

৪) কমিউনিকেশন সমস্যা:

বাবা-মা দেরিতে বিয়ে করলে তাদের সন্তান ও পৃথিবীতে আসবে দেরিতে। যার কারনে দেখা যাচ্ছে সন্তানের সাথে তার বাবা মায়ের বয়সের প্রার্থক্য অনেক বেশি  হয়ে যায়। ফলে বাচ্চার সাথে খেলাধুলা, কথাবার্তা ও যুগের পরিবর্তনে প্রযুক্তির যে পরিবর্তন তার সাথে বাবা-মা খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। ফলে বাচ্চার সাথে বাবা-মায়ের কমিউনিকেশনে বিরাট গ্যাপ হয়ে যায়। যা বাচ্চার মানসিক স্বাস্থ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

৫) মানসিক সমস্যা:

দেরিতে বিয়ে করার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো হতাশা, দু:শ্চিন্তা , নিজেকে ভুল বুঝা, ভুল মানুষকে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা, ঈর্ষান্বিত হওয়া প্রভৃতি বিভিন্ন মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

দেরিতে বিয়ে বাড়ায় স্বাস্থ্যঝুকি এর মত আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন।

 

ধন্যবাদান্তে

ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ) , এমপিটি ( ইন্ডিয়া )
প্রতিষ্ঠাতা, ভিশন পেলভিক কেয়ার
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান,  ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার
উত্তরা, ঢাকা ।
অ্যাপয়েন্টম্যান্ট ঃ  01932797229

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top